ইমাম যাইনুল আবেদীন তাঁর মায়ের প্রতি খুবই অনুগত ছিলেন। আরবের নিয়ম হলো একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়া। তারা আলাদা প্লেট আলাদা চামচ ব্যবহার করে না।
আমরা যখন কাতারের বাদশার দাওয়াতে গিয়েছিলাম, একসঙ্গে বড় পাত্রে খাবার খেয়েছি। ধনী-গরীব সবাই একসঙ্গে খেয়েছে। এই প্রথা এত কঠোরভাবে মেনে চলা হত যে, আলাদা খাবার খাওয়া দোষ ও অসমাজিকতা মনে করা হত।
কিন্তু ইমাম যাইনুল আবেদীন তার মায়ের সাথে খাবার খেতেন না। তিনি আলাদা পাত্রে খাবার খেতেন। জনৈক ব্যাক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করলো, কেন আপনি আপনার মায়ের সাথে খাবার খান না? তিনি উত্তর দিলেন, ‘এ কারণে খাই না, হয়ত এমন হতে পারে, খাদ্যের কোনো অংশ মায়ের পছন্দ হলো আর আমি সেটা মুখে তুলে নিলাম। তাহলে আমি আল্লাহর খাতায় নাফরমান হিসাবে গণ্য হব।’
মা যখন কোনো আদেশ করতেন তখন ইমাম যাইনুল আবেদীন এত দ্রুত ছুটে যেতেন যে, মাঝে মাঝে মা কী আদেশ করেছেন তা বুঝতে পারতেন না। তিনি তার মাকে বলতেন না, আপনার কথা আমি বুঝতে পারিনি, আবার বলুন। বরং তিনি পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসা করতেন, মা আসলে কী বলেছেন। ইমাম যাইনুল আবেদীন তাঁর মাকে এতই মেনে চলতেন যে দ্বিতীয় বার বলার সাহসও পেতেন না।
এমন সব আবেগ, ভালোবাসা, শিষ্টাচার নিয়েই রচিত বইটি
Title | নারীর আখলাক ও শিষ্টাচার |
Author | মাওলানা তারিক জামিল |
অনুবাদক | মাওলানা আব্দুস সাত্তার আইনী |
Publisher | মাকতাবাতুল ইসলাম |
Language | Bangla |